আজকের টপিকে আমরা একটু ইম্পর্টেন্ট টপিক নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। সেটা হলো Subdomain Create করা নিয়ে। তবে কোন কোন বিষিয়ে আমরা বেশি ফোকাস দিবো সেটা বলে দিচ্ছি। যেমন-
- সাবডোমাইন কি?
- কিভাবে Subdomain তৈরি করবেন?
- সাবডোমেইন চেনার উপায়?
- সাবডোমেইন কিভাবে ব্যবহার করবেন?
- কি করলে সাবডোমেইন পাওয়া যায়?
- Subdomain এর সুবিধা ও অসুবিধা?
উপরের সব কিছু জানাবো আজকের এই মূল টপিকে। প্রথমতো বলবো What is a Subdomain?
Sub Domain কী?
কোনো একটি মেইন ডোমেইন এর আন্ডারে যে ডোমেইন টি তৈরি করা হয়। সেটাই হচ্ছে সাবডোমেইন।
সাবডোমেইন চেনার উপায় কি?
আসলে Subdomain চেনা খুবই সহজ। যেমন আপনি গুগলের অনেক গুলো সাবডোমেইন দেখতে পারবেন। যেগুলা আমি উদাহরণ দিয়ে দেখালেই বুঝতে সুবিধা হবে। যেমন-
Google. com মেইন ডোমেইন।
Trends. google. com এখানে যে Trends কথা টা উল্লেখ আছে। সেটা মেইন ডোমেইন এর আন্ডারে করা হয়েছে। এর জন্য আলাদা কোনো ডোমেইন কিনতে হয় নি। তাই কোনো মেইন ডোমেইন এর আগে সংক্ষিপ্ত কোনো নাম বা ওয়ার্ড যুক্ত দেখলে বা সেই নাম এর পরে ডট চিহ্ন দেখলেই ভাববেন সেটা সাবডোমেইন। এভাবে খুব সহজেই যেকোনো ডোমেইন দেখেই চিনে ফেলতে পারবেন।
সাবডোমেইন কি কাজে ব্যবহার করবেন?
মূলত Subdomain ব্যবহার করার কথা ভাবলে ইকমার্স সাইটের কথা আসে মনে আসে। ধরুন আপনার একটি ইকমার্স বিজনেস রয়েছে। যেখানে আপনি একটি পেমেন্ট গেটওয়ে সেট করবেন। কিন্তু এর জন্য একটি সাবডোমেইন এর প্রয়োজন হতে পারে। অথবা সেটা মেইন ডোমেইন এর থেকে বেশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও একটি ব্লগ সাইট তৈরির ক্ষেত্রে সানডমেইন প্রয়োজন হতে পারে। এভাবে অনেক অনেক উদাহরণ রয়েছে। সেই সব কাজে Sub Domain অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
Subdomain এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি?
প্রথমতো আমরা বলবো যে আপনার আপনার সাইট যদি কখনো ভালো র্যাংকিং এ চলে আসে। এর পরে আপনি আপনার সাইটে একটি সাব ডোমেইন এড করলেন। এর ফলে আপনার সাইটের উপরে কিছু অসুবিধা জনক প্রভাব ফেলতে পারে। সেটা হলো SEO এর ক্ষেত্রে মুলতো সাবডমেইন কাজ করবে না। আবার নতুন করে SEO করতে হবে। যার ফলে আপনি একটা সমস্যায় পরে যেতে পারেন।
সুবিধা- যেটার কথা একটু আগেও আমি বলেছি। যে আপনার বড় ধরনের একটা বিজনেস বা ব্লগ সাইট থাকলে। ভিজিটরস দের আলাদা সুবিধার্থে একটি সাব ডোমেইন ব্যবহার করতেই পারেন। আমি যদি বলি বিডি শপ এর কথা। তাহলে খেয়াল করবেন। তাদের মেইন ডোমেইন হলো BDSHOP ডট COM এবং তারা একটি অফার এর ব্যবস্থা করে থাকে মাঝে মাঝে। সেটার নাম দিয়েছে Deals ডট BDSHOP ডট কম। এতে আমরা একটা জিনিস খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি। বিডি শপের মেইন সাইটে কিছু এমন কোনো অপশন নেই। যেখানে কোনো আলাদা রকম এর অফার দিতে হচ্ছে। অনেকে বলতে পারেন। বিডি শপ এমন টা না করে অন্য একটা ডোমেইন ও তো কিনতে পারতো। কিন্তু যা না করে সাব ডোমেইন কেন বানানো।
আসলে এর উত্তর একটাই। যেহেতু বিডি শপ তাদের এই ব্র্যান্ডিং টা ধরে রাখার জন্যই অফার গুলো দিয়ে থাকে। এতে করে আরো একটি ডোমেইন কিনা যেমন অসম্ভব এবং বিডি শপের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমে যাচ্ছে। এভাবেই মানুষ যেখানে অফার বেশী পাচ্ছে সেখানেই বেশি কেনা কাটা করতেছে। এভাবে আরো ক্ষতির মুখে পরবে। তাই এখানেই হলো মেইন সুবিধা।
কি করলে সাবডোমেইন পাওয়া যায়
এমন প্রশ্নের উত্তর খুবই সহজ। কেনোনা সাবডোমেন পেতে এমন কোনো কিছু জয় করার প্রয়োজন হয় না। অবশ্যই একটা জিনিস জানতে তো হবেই। সেটা হলো আপনাকে একটা প্রিমিয়াম ডোমেইন রেজিস্টার করতে হবে। আপনি যদি ব্লগারের ফ্রি সাব ডোমেইন এর আন্ডারে আরো একটি সাব ডোমেইন এড করতে চান। তাহলে সেটা একদমি অসম্ভব বেপার। এর জন্য আপনাকে একটি টপ লেভেল ডোমেইন কিনতে হবে। তা না হলেও সাধারনতো অন্যনেন্য এক্সটেনশনের ডোমেইন ও কিনতে পারেন। যেমন ডট কম টাকে বেশি পায়রিটি দিয়ে থাকি। আর গুগল তো আরো বেশি। আর সেই প্রিমিয়াম ডোমেইন কিনলেই আপনি তৈরি করে ফেলতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত সাথে একটা ও্যার্ড যুক্ত করে সাব ডোমিন।
কিভাবে Subdomain তৈরি করবেন?
এই প্রশ্ন টা বেশীর ভাগ মানুষ করে থাকে। কারন সাবডোমেইন সমন্ধে কেউ নতুন জানলে। সেই বিষয় নিয়ে একটু মাতামাতি হয়ে থাকে। এর প্রধান কারন এটা তৈরি করেতে কোনো টাকা পয়সার প্রয়োজন হয় না। আপনি ফ্রি’তেই এটি বানাতে পারবেন সি প্যানেল থেকে। আসুন শিখে নেই কিভাবে তৈরি করতে হয়। প্রথমত চলে আসুন আপনার cPanel এর মধ্যে। উপরের সার্চ বক্সে সার্চ করুন Subdomain লিখে। এবার সেখানে ক্লিক করুন। তার পরে নিচের ছবিটি ফলো করে করে সব কিছু লিখবনে। তবে মনে রাখবেন। আমার ডোমেইনের যায়গায় আপনার ডোমেইন টি দিতে হবে। আর অবশ্য নিচের ছবিতে দেখানো Document Root এর যায়গায় public_html/ টা আপনাকে বসিয়ে দিতে হবে। এরপরে ডোমেইনের নাম থাকবে।
পোস্টি ভালো লাগলে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ…