চ্যানেল খুলে টাকা ইনকাম: হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের কে এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলবো। যেটি জানিলে ঘরে আর শুধু শুধু সময় অপচয় করতে চাইবেন না। যেটা বলছিলাম। YouTube সমন্ধে আমাদের সবারই কম বেশি ধারনা বা পরিচিত আছে। তবে এটাও শুনেছি। ইউটিউব থেকে মাসে লক্ষ টাকার অধিক ইনকাম করা যায়। তাই আজকে জানাবো কিভাবে YouTube থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে টাকা ইনকাম এর কথা শুনলে নিজের মধ্যে একটা এমনিতেই ভালো লাগা সৃষ্টি হয়। আর যদি সেটা হয় ঘরে বসে। তাহলে তো কোনো কথাই নেই।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা: টাকা ইনকাম যতটাই সহজ আবার ঠিক ততটাই কঠিন। তাই আমি আপনাদের কে বলবো কিভাবে ইউটিউব কে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। আমরা বিভিন্ন সংবাদপত্র বা টিভিতে দেখে থাকি অথবা অন্যদের মুখে শুনে থাকি। ইউটিউবিং করে ২-৪০ বছরের শিশু বাচ্চা ও যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত ইউটিউবে কাজ করে বা ভিডিও আপলোড করে নিজের ক্যারিয়ার ধরেই নিলাম।
ইউটিউবিং করে যারা সফল হয়েছেন!
অ্যামেরিকাতে বা বিভিন্ন দেশে বিশাল বহুল দালানকোঠার মালিক পর্যন্ত হয়ে গিয়েছেন। এক সূত্রে জানা গিয়েছে। যেটা গুগল নিজেই বলেছেন অনলাইন থেকে বা গুগল এডসেন্স থেকে মাসে ৫০ লাখ হতে ১ কোটি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তবে এর জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম, ধর্য ও দক্ষতা অর্জন করা আবশ্যক।তো বেশি কথা না বলে চলুন মূল বিষয়ে ফিরে যাই। যেটা আমি আপনাদের কে প্রত্যেকটা স্টেপ বাই স্টেপ বলবো। তাহলেই তাদের মতো আপনিও চ্যানেল খুলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
নতুন চ্যানেল খুলার উপায়
প্রথম ধাপ- শুরুতে আপনাকে একটি YouTube Channel খুলতে হবে। যেটা প্রফেশনাল ভাবে খুলার জন্য রেকোমেন্ডেড থাকবে। এর জন্য প্রথমেই আপনার পার্সোনাল বা যথেষ্ট সিকিউর একটি জিমেইল একাউন্ট এর প্রয়োজন হবে। কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল ১০০% নিরাপদে রাখবন। এ নিয়ে আমাদের টেকনো দিপুতে আরো একটি হেল্পফুল আর্টিকেল রয়েছে। যা পড়ে আপনি এ বিষয়ে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন।
তবে আমি যা বলছিলাম। সেটা হলো জিমেইল একাউন্ট টি খুলার পরে সরাসরি মোবাইলে খুললে YouTube App বা কম্পিউটারে খুললে ক্রোম ব্রাউজার এ চলে যাবে। এর পরে চ্যানেল টি খুলার জন্য উপরের ডান পাশ থেকে প্রফাইল এ ক্লিক করুন। এখন দেখবেন Create Channel বলে একটি নিচে লিখা আসবে। তার উপরে আপনি আপনার চ্যানেলের নাম দিন। অবশ্যই সুন্দর একটি নাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য সুন্দর নাম খুজে বের করবেন। এ নিয়ে আমরা একটি আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করবো আপদের সুবিধার্থে।
এখন আপনার চ্যানেলের নাম দিয়ে Create Channel এ ট্যাপ করুন। আপনার চ্যানেল টি সম্পুর্ন ভাবে খুলে যাবে। এবং সেটি এখন কাস্টমাইজ করার পালা।
কিভাবে নতুন চ্যানেল কাস্টমাইজ করতে হয়?
প্রথমে চলে যান আপনার ফোনের ক্রোম ব্রাউজারে। তবে আমার রেকোমেন্ড থাকবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাস্টমাইজ করার। এতে আপনার চ্যানেলটি খুব সহজেই কাস্টমাইজ করতে পারবেন। তা না হলে ফোন দিয়ে করতে হলে ব্রাউজার থেকে ডেস্কটপ ভার্সন করে নিতে হবে।
এর পরে চলে আসুন ইউটিউব ডট কমে। সেখানে দেখবেন উপরে ৩ ডট আইকন আছে। ট্যাপ করে নিচে থেকে ডেস্কটপ ভার্সন করে নিন। এবার চ্যানেল আইকনে ক্লিক করে YouTube Studio তে ক্লিক করে বেটা ভার্সনে নিয়ে আসবে। আপনার এখানে থেকে আবার চ্যানেল এর লোগো তে ক্লিক করতে হবে ডান দিকের উপরে থেকে।
ইউটিউব স্টুডিও-
যখন আপনার সামনে CUSTOMIZE CHANNEL সাথে YOUTUBE STUDIO এই দুইটি অপশন দেখবে। এভার এখানে থেকে কাস্টমাইজ এ ক্লিক করে এক এক করে সুন্দর ভাবে কাস্টজ করে নিন। প্রথমতো আপনাকে চ্যানেলের একটি লোগো পরিবর্তন বা যুক্ত করতে হবে। এরপরে চ্যানেলের জন্য একটি কভার আর্ট নিজেই ডিজাইন করে বানানোর চেষ্টা করবেন। কিভাবে একটি লোগো আর কভার আর্ট বানানো যেতে পারে খুব সহজেই তা নিয়ে আমাদের আরো একটি আর্টিকেল লিখার প্লান আছে। যা পড়ে পড়ে শিখতে পারবেন।
চাইলে আপনার পপুলার ভিডিও, সর্বশেষ ভিডিও, প্লেলিস্ট এগুলা সুন্দর করে সিরিয়াল ভাবে সাজারে পারবেন শুধুমাত্র কাস্টমাইজ করে।
বন্ধুরা আজকে আর বেশি কিছু লিখছি না। আর এই পর্যন্তই বললাম। পরবর্তী তে আমি আপনাদের জন্য আরো ভালো কিছু টপিক নিয়ে আসবো। তত পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ….