মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করার জন্য ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ সমন্ধে জানুন
মোবাইলে ইউটিবিং- আমরা জানা নতুন ইউটিউবার রয়েছি। তাদেত ক্ষেত্রে আজকের এই টপিক টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি এই পোস্টি করতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করলাম। বন্ধুরা ইউটিউবিং মোবাইল দিয়েও করা যায় আবার কম্পিউটার দিয়েও কাজ করস সম্ভব। তবে আমার কাছে মোবাইল টাই বেশি ভালো লাগে। খুব সহজেই সব কিছু কন্ট্রোল করতে চাইলে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব এ কাজ করার মজাই জেনো আলাদা। আমি নিজেও আমার এন্ড্রয়েড ডিভাইস টি দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড সহ বিভিন্ন রকমের এডিট করে থাকি। শুধু তাই নয় মোবাইলে কিছু কিছু এমন অ্যাপ রয়েছে। যেগুলা আপনি গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটাল করে নিয়ে কম্পিউটার এর মতো কাজ করতে পারবেন।
৫টি প্রয়োজনীয় অ্যাপ কী কী?
তবে ইউটিউব অ্যাপ তো অবশ্যই থাকবে। সাথে ইউটিউব এর অফিসিয়াল অ্যাপ YouTube Creator Studio বলে এই অ্যাপ টা অনেক জনপ্রিয় সকল ইউটিউবার দের কাছে। আমি মনে করি এই রকমের আরো কিছু রয়েছে। যেগুলা ইউটিউবিং করার সময় আপনার আমার কাজে লাগবেই লাগবে। আসুন জেনে নেই কোন কোন অ্যাপ এর কথা আমি বলতে চাইছি।
1. YouTube
2. YT Studio
3. Pixellab
4. Inshot/ Kinmaster/ Power Director
5. Chrome Browser
এখানে সর্বমোট ৭ টি অ্যাপ এর কথা বলা হয়েছে। যেখানে বাকি ২ টি অপশনাল।
YouTube –
যেটা ছাড়া ইউটিউব এ কাজ করা অসম্ভব। এটির মাধ্যমে আপনাকে সব কিছু আইডিয়া নিতে হবে। যেমন কে কোন ভিডিও আপলোড দিলো। কার ভিডিও ভাইরাল হলো। কোম ভিডিও গুলা মানুষপছন্দ করে। কেমন ভিডিও আপলোড দিলে ভিউ বেশি পাওয়া যায়। আবার এই অ্যাপ ছাড়া ভিডিও শর্টকাট এ আপলোড করা অসম্ভব। তাই অবশ্যই ইউটিউব অ্যাপটি নিজের ফোনে ইন্সটাল করা থাকতেই হবে। যেটা ১০০% রেকোমেন্ডেড।
YT Studio-
এটি ছাড়া আপনি কখনই খুজ সহজেই আপনার ফোন থেকে সমস্ত ভিডিওর সবা চ্যানেলের সব কিছু কন্ট্রোল করতে পারবেন না। বিষেশ করে মোবাইল দিয়ে। আপনি এই ইউটিউব এর অফিসিয়াল অ্যাপটির দ্বারা আপনার ভিউ, ওয়াচটাইম সহ ইনকাম পর্যন্ত দেখতে পারবেন। আরো কত কি দেখা যাবে। তা নিজেই ব্যবহার না করলে বুঝতে পারবেন না। এছাড়াও ইউটিউব স্টুডিও দিয়ে আপনি কম সময়ের মধ্যে ট্যাগ, টাইটেল, থাম্বনেইল সহ ডেস্ক্রিপশন লিখতে পারবেন। যার বিকল্প কোনো অ্যাপ নেই।
Pixellab-
সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অ্যাপ এর কথা বলতে গেলে পিক্সেলল্যাব অ্যাপ টির কথা আমার চোখে ভাসে। এইটা দিয়ে মূলত ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রেট করার পরে থাম্বানেইল তৈরি বা ডিজাইন করা হয়। আমি প্রায় ২ বছর ধরে এই অ্যাপ টা খুব ভালো ভাবে ব্যবহার করে আসছি। মনে হয় এটাও যেনাও একটি অফিশিয়াল অ্যাপ। যদিও না কিন্তু আমার কাছে সব দিক থেকে এটাকে এগিয়ে রাখবো। আপনি চাইলে খুব সুন্দর সুন্দর কম্পিউটার এর মতো করে এই অ্যাপ টি দিয়ে ফটো ও থাম্বনেইল বানিয়ে ফেলতে পারবেন।
Inshot (Kinemaster/PowerDirector)-
এর মধ্যে কাইনমাস্টার বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু ইদানীং আমার কাছে ইনশট অ্যাপ টা একটু বেশিই ভালো লাগে। যা অন্যান্য অ্যাপের তুলনায়। এটি সত্যিই অসাধারণ ভিডিও এডিট করা যায়। একটি নরমাল ভিডিও তে কালার ইফেক্ট, বাংলা ও ইংরেজি ফন্ট, ভয়েস রেকর্ড, স্ট্রিকার, ছবি যুক্ত করা ইত্যাদি কালারফুল ভাবে সুন্দর ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করা যায়। যেটা আমি প্রায় ১ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছি।
Chrome Browser-
ক্রোম ব্রাউজার অ্যাপটি আমার কাছে সব ব্রাউজার এর থেকে বেশি প্রিয়। সব ব্রাউজিং কাজের ক্ষেত্রে আমি এটি ব্যবহার করে থাকি। আপনি মোবাইল দিয়ে ইউটিউবিং করার সময় কিছু কিছু জরুরি কাজে এটা ব্যবহার করা প্রয়োজন হতেই পারে। সেই ক্ষেত্রে ক্রোম ব্রাউজার অন্যতম। অনেক সময় চ্যানেলের লোগো নাম ও কভার ফটো সহ একটি চ্যানেল সুন্দর ভাবে কাস্টমাইজড এর জন্য এই ব্রাউজার টি খুবই হেল্পফুল।
বন্ধুরা এই সব কয়টি অ্যাপ থাকলে আপনাকে ইউটিউবিং করতে আরো সহজ করে তুলবে। আমাকে কমেন্ট করে জানা কোন অ্যাপ অ্যাপটি আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ!